সোয়েব সাঈদ, রামু::
জেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোশতাক আহমদ বলেছেন, দেশে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে না। কারণ উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেও অনেকে নীতি বিবর্জিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রয়োজন সুশিক্ষা। সুশিক্ষা ছাড়া জাতির অগ্রগতি কখনো সম্ভব নয়। এজন্য বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষকের আদেশ-নিষেধ মেনে আদর্শ মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি গতকাল সোমবার (১৪ মে) ঐতিহ্যবাহি রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, রামুতে বিগত দুই বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে রামুতে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো ১১টি। আর গত দুই বছরে রামুতে ৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার মানও বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে সব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি সংবর্ধিত অতিথি বাফুফে সদস্য বিজন বড়–য়াকে রামুসহ জেলার ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নে অবদান রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, পরপর ২বার বাফুফের সদস্য নির্বাচিত হয়ে সাবেক মাঠ কাপানো এ ফুটবলার রামুবাসীর জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, সংবর্ধিত অতিথি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য বিজন বড়–য়া, চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রবীর বড়–য়া, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বড়–য়া, রাজারকুল মনসুর আলী সিকদার আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাশেম, জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন, রামু বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন বড়–য়া, মাষ্টার ফরিদ আহমদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সাংবাদিক দর্পণ বড়–য়া, সুরজিত বড়–য়া কেলসন, রমজান আলী, ফরিদুল আলম চৌধুরী, রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য অলক বড়–য়া প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সিনিয়র শিক্ষক মৌলানা বখতেয়ার আহমদ ও অভিভাবক আনোয়ারুল হক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বার্ষিক ক্রীড়্ াও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন। রাতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহনে প্রখ্যাত নাট্যকার মমতাজ আহমদ রচিত নাটক ‘বর্ণচোরা’ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। নাটক পরিচালনা করেন, রামুর সংস্কৃতিকর্মী মাষ্টার মোহাম্মদ আলম ও শিক্ষক আবুল কালাম।
বার্ষিক এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আনন্দমুখর হয়ে উঠে বিদ্যালয় আঙ্গিনা। অনুষ্ঠানস্থলে ব্যতিক্রমী ও বর্ণাঢ্য সাজসজ্জা ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিক, সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত